ওয়েব ডেস্ক : প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি (Primary Teachers Recruitment Case) বাতিল মামলায় একক বেঞ্চের রায় খারিজ করেছে আদালত। যার ফলে শিক্ষকদের চাকরি বহাল থাকবে। এমন রায়ে স্বাভাবিকভাবে খুশি শিক্ষকরা (Teachers)। হাওড়া (Howrah) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে শিক্ষকদের দেখা গেল আনন্দে মিষ্টিমুখ করতে।
মহিয়ারী রানিবালা কুন্ডু চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার প্রিয়াঙ্কা ধারা বলেন, “২০১৫ সাল থেকে মা কিডনীর অসুখে ভুগছিল। চাকরির খুব প্রয়োজন ছিল। ২০১৭ সালে চাকরি পেয়ে খুব উপকার হয়েছিল। এরপর যখন নিয়ম বহির্ভুত নিয়োগ বলে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়, তখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। মায়ের ওষুধ কিভাবে কিনবো বুঝে উঠতে পারিনি। এরপর লড়াই চলতে থাকে। আজ আদালতের রায়ে ভীষন খুশী। সত্যের জয় হয়েছে।”
আরও খবর : ভয় নেই, পাশে আছি SIR নিয়ে আশ্বাসবাণী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বটতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবায়ন মজুমদার বলেন, ‘আজ আনন্দে চোখে জল এসে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক জয়। বিচার ব্যবস্থার ওপর ভরসা ছিল। এই রায়ে আস্থা আরো বেড়ে গেল।’ হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘আগের রায় যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছিল, তা আজ প্রমাণ হয়ে গেল।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার পরে ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেই সময় নিয়োগ করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। তবে তাতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০২৩ সালে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সেই সময় বিচারপতি নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, রাজ্যকে তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ করতে হবে। তাতে যোগ্য ও উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চাকরি বহাল থাকবে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল পর্ষদ। সেই সময় তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য একক বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল।
কিন্তু রাজ্যকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু কথা বলা হয়েছিল। তবে তা নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য ও পর্ষদ। তবে পরে মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চেই পাঠানো হয়। সেই মামলায় বুধবার ৩২ হাজারে চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
দেখুন অন্য খবর :







